সিলেট ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১৬ পূর্বাহ্ণ, মে ১৯, ২০২০
ফারুক আহমেদ, মাগুরা প্রতিনিধি :
মাগুরার উপর দিয়ে বয়ে গেল কালবৈশাখীর থাবা। এ ছাড়া মহামারী করোনা সংকটের পরও লিচু চাষীরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চাষীরা এবার ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এক দশক ধরে লিচু আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় মাগুরা জেলার কয়েকটি এলাকায় লিচু পল্লি হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
সদর উপজেলার হাজরাপুর, মিঠাপুর, ইছাখাদা, বিল আকসি,নরসিংহাটি, জগদল, রুপাটি, ছোনপুর, জাগলা, মঘি, তিতারখাপাড়া, লস্কারপুর, বেরইল, কুশাবাড়িয়া, সিতারামপুর, খালিমপুর, ও হাজিপুরসহ ৩০ গ্রামে লিচুর বাম্পার ফলন হওয়ায় অন্যন্য এলাকায় এর প্রভাব পড়ে। দিন দিন মাগুরার লিচু আবাদ বৃদ্ধি পেতে থাকে এর ফলে মাগুরা জেলায় লিচু চাষে বিপ্লব ঘটে যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এবার পরিবেশ পক্ষে থাকায় লিচুর ব্যাপকভাবে মুকুল দেখা দিয়ে ছিল এবং ফলও ধরে ছিল। বৃস্টি না থাকায় কিছু গাছের লিচু ঝরে যাচ্ছে। বর্তমানে একটু বৃষ্টি হওয়াতে আবার বেশি ফলন দেখা দিয়েছে। আর কোন দুর্যোগ না হলে লিচু চাষিরা বাম্পার ফলন পাবে বলে জানান। প্রতিবছর এখানকার চাষিরা লিচু বিক্রি করে লাভবান হন। মাগুরা শহর থেকে আড়াইহাজার লিচু বাগান রয়েছে।
এর মধ্যে মাগুরা সদরের লিচু পল্লিতে রয়েছে ২৫০০ বাগান। জেলায় ৪ উপজেলায় ৪৫৭১ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে। লিচু চাষে অনেক চাষীরা ভাগ্য বদলে অন্যরা উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে এসেছেন। এতে করে এলাকার লিচু চাষে রীতিমত বিপ্লব ঘটেছে। ১৯৯৩ সাল থেকে লিচু আবাদ শুরু হয়। লিচু নিয়ে এলাকায় লিচু মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মাগুরা সদর উপজেলার, হাজরাপুর, বিল আকসি ,নরসিংহাটি, জগদল, রুপাটি, ছোনপুর, জাগলা, মঘি, তিতারখাপাড়া, লস্কারপুর, বেরইল, কুশাবাড়িয়া, সিতারামপুর, রাঘবদাইড়, হাজিপুর, মিঠাপুর, ইছাখাদা, খালিমপুর, রাউতাড়া, মির্জাপুর, বামনপুর, আলোমখালি, বীরপুর, বেরইল, লক্ষিপুর, আলাইপুর, সীবরামপুর, ও নড়িহাটিসহ ৩০ গ্রামে চাষীরা গত ২ যুগ ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচু আবাদ করে আসছেন।
মাগুরার চাষীরা জানান,তারা বেদানা, মোজাপ্ফর , চাইনাথ্রি, ও বোম্বাই জাতের লিচু চাষ করেন। এই চার জাতের লিচু ক্রেতাদের কাছে খুবই প্রিয়। আর এ কারনেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা এখানকার লিচু গাছ দেখেই কিনে পরিচর্য়া করেন। সময় হলে লিচু গাছ থেকে পেড়ে বিক্রি করেন।
এখানকার লিচু চাষে মুল উদ্যক্তা জিয়াউল হক শরিফুল ইসলাম। মাগুরা বিলআকসি গ্রামের জিয়াউল হক শরিফুল ইসলাম তিনি সাপ্তাহিক অভিযোগগে জানান, আমি ২০০৪ সালে লিচু চাষ শুরু করি ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে ২০০৮ সালে তখন মাগুরা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের পরামর্শে আব্দুর রশিদ সাহেবের মাধ্যমে ২একর ৩০ শতক জমিতে চারা রোপন করি। বছরে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ বাদে লক্ষাধিক টাকা লাভ হয়েছিল।
কিন্ত লিচু চাষীদের কৃষিপরামর্শ আব্দুর রশিদ সাহেবের কাছ থেকে পেতাম, তিনি মাঝে মাঝে মোবাইলে পরামর্শ দিয়েছেন, তারপরও যদি কর্মকর্তারা আমার লিচুর বাগানে এসে সরেজমিনে লিচুর অবস্থা দেখতেন এর প্রতিকার আরো বেশি পেতাম এবং লিচুর বসন্তের দাগের মত লাল ফেটে চৌচির হয়ে প্রায় লিচুই গাছে এরকম অবস্থা।
এ প্রসংগে লিচু চাষীরা ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আব্দুল হক জানান, মাগুরায় হাজরাপুরী লিচু বিখ্যাত। সে লিচু বিল আকসি গ্রামের বিশিষ্ট জনতা ইলেক্ট্রনিকস সত্বাধীকারী জনাব জিয়াউল হক শরিফুল ইসলামের লিচু বাগানে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। তিনি মাগুরাসহ বাইরের যে কোন জেলা থেকে এ জাতের লিচুর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তবে তিনি ইউনিয়ন ব্লক সুপারভাইজারদের দোষারোপ করেন যে তারা যদি বাগানের এ রকম লিচু দেখে পরামর্শ দিতেন তাহলে এত ক্ষতি হতনা।
এ ব্যাপারে জগদল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ব্লক সুপারভাইজার দিলরুবা জানান, আমি জগদল ইউনিয়নের যে কোন কৃষি পরামর্শ দিয়ে থাকি এমন কি কেউ যদি আমাকে ইনফর্ম করে আমি সরেজমিনে দেখতে যাই এবং প্রতিকারের পরামর্শ দিয়ে থাকি।
লিচু চাষীদের বিষয়ে মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু তালহা জানান, এ বছর আমরা মাগুরায় লিচু চাষে বেশ বাম্পার ফলনের আশা করতেছি। শুধু জগদল ইউনিয়নে ঝড়ের খবর পেয়েছি সেখানে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গিয়েছেন। তিনি চাষীদের সবরকমের আশার আলো দেখাচ্ছেন।
প্রধান উপদেষ্টাঃ মোঃ হেলাল আহমেদ চৌধুরী,প্রবীণ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী (প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফেইসবুক ফ্রেন্ডস ক্লাব বাংলাদেশ)
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিকী( উজ্জ্বল) এডভোকেট (এ.পি.পি.)জজ কোর্ট সুনামগঞ্জ।
প্রধান সম্পাদকঃ মাশুক মিয়া ( যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী)সাধারন সম্পাদক
সুনামগঞ্জ সোসাইটি অব আমেরিকা ইনক, নিউ ইয়র্ক।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওয়াসিদ আকরাম (সিইও) বাংলার বারুদ ২৪.পত্রিকা
নির্বাহী সম্পাদকঃ মকবুল আলী ( যুক্তরাজ্য প্রবাসী) সদস্য, জাষ্টিস অফ ভয়েস ইউ ,কে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এম আব্দুল করিম (সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী)
পত্রিকার ডিজাইনারঃ মাওঃ খছরুজ্জামান ও মো.আব্দুল্লাহ আল যোবায়ের।